এবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ড. ইউনূসের ক্ষমতার লালসা নেই। একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকতে পারেন। এই সময়টি ২ বছরের বেশি নয়।
গতকাল শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাতে টাঙ্গাইল শহরের নিজ বাসভবন সোনার বাংলায় দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই জয় শিক্ষার্থী ও জনতার। এটা বাংলাদেশের জয়, এটা বাংলাদেশের বিক্ষোভের জয়। এটা কোন দলের ও গোষ্ঠীর নয়।
তিনি আরও বলেন, অতীতে ইউনূসের সাথে জলুম করা হয়েছে। তা না করে আমরা যদি ইউনূসকে দেশের পক্ষে কাজে লাগাতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশ আরও বেশি লাভবান হত। আশা করছি তিনি মানুষের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবেন। এরকম বিপর্যয়, ধ্বংস ও জীবনহানী এত অল্প সময়ে আমরা কখনও দেখিনি। এই দেশটা আওয়ামী লীগের না, বিএনপির না, জামায়াতেরও না। এই দেশ ১৮ কোটি মানুষের।
প্রেস ব্রিফিংকালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী সংখ্যালঘুদের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের নিন্দা জানান এবং তা দ্রুত তদন্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে বলেন তিনি। এছাড়া সারাদেশে যে জালাও পোড়াও করে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে তারও নিন্দা জানান এবং তা গুটিয়ে আনা না হলে অত্যাচারকারিরা জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, ছাত্ররা যে আন্দোলন করেছে তা বিপথে পরিচালান করার জন্য স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছে। এটা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেও নেওয়া হয়েছে। এইজন্য আমি সাবধান করবো যারা আন্দোলন করে সফল হয়েছেন সফলতার পূর্ব শর্তই হচ্ছে ন্যায় বিচার, অন্যের প্রতি ভালো আচরণ, বিনম্রতা। আমি আশা করবো এই সরকার বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে যারা আগুনে দিয়েছেন সুষ্ঠু তদন্ত করে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করবেন।
এদিকে কাদের সিদ্দিকী বলেন, সঠিক বিচার না করলে এই সরকারকেও জবাবদিহি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু এ দেশের সম্পদ, এ দেশের সন্মান তার স্ট্যাচু এই ভাবে ভাঙার কোন মানে হয় না। এটা যদি আন্দোলনকারীরা ভেঙে থাকে, আন্দোলনের পক্ষের লোকেরা ভেঙে থাকেন তাহলে তাদেরকে জবাবদিহি করতে হবে। এই সরকার এদেশের দুর্নীতি একেবারে শেষ করতে পারবেন না। তবে দুর্নীতির গলা চেয়ে না ধরতে পারেন তাহলে তাদের প্রতিও এ দেশের মানুষের আস্থা থাকবে না।
এ সময় দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানুষ কিন্তু প্রথমে চায় দুর্নীতিমুক্ত সমাজ। ১৫টা বছর এই দেশে শুধু অন্যায় আর অন্যায় হয়েছে। এই আন্দোলন কোটা সংস্কারের জন্য এত সফলতা আসেনি, বৈষম্যর জন্যও আসেনি। মানুষ ক্ষিপ্ত হয়েছে। তিন চারটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেননি। আওয়ামী লীগ মানুষের ইচ্ছার বাইরে সরকার গঠন করেছে।